সাইফুল ইসলাম, সিংগাইর:
প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলার বেড়াজালে সিংগাইরের জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা বসির উদ্দিন ফাউন্ডেশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমানের আট বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধু। দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন ঐ শিক্ষকের পরিবার । এতে তার সংসারে নেমে এসেছে দৈন্যদশা।
জানা গেছে উপজেলার জামশা কালিগঙ্গা নদীর তীরবর্তী জনপদ উত্তর জামশা গ্রামে ১৯৯৫ সালে চার পাখী জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় বসির উদ্দিন ফাউন্ডেশন হাইস্কুলটি। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই এ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান। স্কুল টি নির্মাণের স্বার্থে ৮৪ শতক জমিও স্কুলের নামে লিখে দেন তাদের পরিবার । ত্যাগও নিরলস প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি এমপিও এবং বিদ্যালয়ের দৃষ্টি নান্দনিক ভবন নির্মাণে স্কুলের হালচাল পাল্টিয়ে গেলেও আজও ঐ হতভাগা শিক্ষকের হয়নি ভাগ্যের পরিবর্তন। বেতন ভাতা বন্ধথাকায় দুচোখে ঘুর অন্ধকার দেখেছেন তিনি। আরিফুর রহমান দুই সন্তানের জনক । এক ছেলে আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পথে। আরেক ছেলে কলেজে অধ্যায়নরত। স্ত্রী জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত । এলকার একটি কুচক্রী মহলের মামলার বেড়াজালে পড়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে বেতন ভাতা বন্ধ । এতে সংসার চালতে হিমশিম খাচ্ছেন ঐ শিক্ষক। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে তার। একদিকে ছেলের লেখাপড়া অন্য দিকে তার সহধর্মিণীর চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ্য হয়েছেন । তিনি বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ছেলেদের পড়া শোনাও বন্ধ হওয়ার পথে । অর্থের অভাবে হচ্ছনা না স্ত্রীর সুচিকিৎসা। চিকিৎসার ব্যয়ভার যোগাতে জায়গা জমি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন শিক্ষক আরিফুর রহমান। চিকিৎসার অভাবে স্ত্রীও মৃত্যু পথযাত্রী। অবশেষে নিম্ন আদালত হতে বেতন ভাতার রায় হলেও ঐ কুচক্রী মহল আবারও উচ্চ আদালতে আপিল করে বেতন ভাতা আটকিয়ে দেন। ঘরে খাবার নেই, পড়নে কাপড় নেই মামলা ও স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যয় ভার জোগাতে জায়গা জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে তিনি এখন পাগলপায়। প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান বলেন এলাকার একটি কুচক্রী মহল স্কুলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আমার বিরোধিতা করে স্কুলটি ধ্বসের পায়তারা করে আসছিল। সর্বশেষ আমার নানে ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আমি রায় পাই। বেতনভাতাদি পাওয়ার সময় হলে ঐ চক্র টি আবারও আপিল করেন।